শীতের সকাল নিয়ে কিছু কথা।


প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি শীতের সকাল নিয়ে কিছু কথা বলব এবং আপনারা যদি আমার পোষ্টটি পড়তে আগ্রহী হতে চান তা হলে এই পুরো পোষ্টটির বিস্তারিত তথ্য এবং তালিকা পেতে সমস্ত আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


শুধু তাই নয় শীতের শব্দের তালিকা সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে এখানে কথাবার্তা বলা হয়েছে আশা করছি এগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে তাই ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকাঃশীতের সকাল নিয়ে কিছু কথা।

আজকে আমরা শীতের সকাল নিয়ে কিছু কথা এই টপিক নিয়ে আলোচনা করব।শহরে কিংবা গ্রামে কেমন শীত এবং এর জীবনযাত্রা নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরবো।

শীতের দিনে মানুষ খোঁজে উষ্ণতার পরশ।

শীত মানেই অতিথির আগমনের সূচনা হওয়া শীত মানে সকালের ঘন কুয়াশাই ঘেরা। শীত মানে গরম পোশাকের উষ্ণতার পরশ। শীত মানে নানান পিঠার উৎসবের আমেজ।শীত মানেই অপরূপ সৌন্দর্যের প্রকৃতির মায়া!ঘন কুয়াশার ঘেরা আর শিশির ভেজা ঘাস। সব মিলে এক দারুণ প্রকৃতির বৈচিত্র্যময়।

কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড শীত পড়েছে অনুভূতি হচ্ছে এবং অনুভব করতে পারছি যে শীতের তীব্রতা কতটা বেশি। নেই কোন সূর্যের দেখা আছে শুধু হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস শিশির ভেজা টপটপ করে পানি পড়ছে ঘাসের উপরে এই ত্রিব ঠান্ডা আর বাতাস মানুষের জীবনে বয়ে আনছে কষ্টকর। বিপর্যস্তপড়ছে।

অনেক মানুষ আছে আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে শীতে বেশি। দরিদ্র মানুষ যাদের পরনের নেই ভালো গরম কাপড়। নেই ভালো খাবার তারপরও যদি গায়ে থাকে একটি উষ্ণতার পরশের একটি গরম পোশাক তবে তাদের মুখে হাসি ফোটানো যায়। এই হার কাঁপানো শীতে আমরা যদি

চাই একটু নজর দিতে দরিদ্র, শিশুদের এবং বৃদ্ধ যারা আছে তাদের সাহায্য করি ।তাহলে হয়তো তাদের শীতের দিনেও উষ্ণতার পরশ পাবে। মানবতার সেবা সবচেয়ে বড় ইবাদত তাই আসুন আমরা সবাই মিলে যদি আমরা এই গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াই যারা শীতে কষ্ট করছে হয়তো তারা একটু হলেও ভালো থাকবে।

গ্রামের শীতের সকালটা কেমন?

শীতকালে আমরা বেড়ানোর কথা ভাবলে আমাদের মনে পড়ে অনেক জায়গার কথা।পাহাড় পর্বত কিংবা সমুদ্র ইত্যাদি। কিন্তু শহরের জীবন যাপনে মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে প্রকৃতির অনুভব করতে চায় না তারা আবার প্রকৃতির কাছে খুব একটা যেতেও চায়না।

তাই আপনারা এই শীতে প্রকৃতির অনুভব করতে চাইলেগ্রামে ঘুরে আসতে পারেন।
ভোরের ঘন কুয়াশায় চাদর সরিয়ে যখন দূর দিগন্তে লাল টকটকে সূর্য যেন আবির্ভাব হতে দেখা যায় পূর্বদিকে। শিশির ভেজা ঘাস আর ভেজা ধানের শীষ আর ফুলের কলিতে যেন মৌমাছিদের আহরণ।

এ যেন গ্রাম বাংলার গ্রামের শীতের সকালের চির পরিচিত একটি রূপ দেখা যায় বললেই চলে।
আরো দেখতে পাওয়া যায় গ্রাম বাংলার মেয়েরা চারিদিকে সারিবদ্ধতা হয়ে গোলা আকারে বসে আগুন পোয়াতে দেখা যায়।আমাদের শহরের মতো গ্রাম বাংলায় ধোয়া আর কুয়াশা ও দেখতে পাওয়া যায় আর সকাল হলেই যেন নানান রকমের পিঠা বানাতে দেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ

পিঠা উৎসব নিয়ে কিছু কথা

প্রতিটি দেশেই একটি ঐতিহ্য বাহি মিষ্টান্ন খাবার থাকে সেটা হচ্ছে পিঠা। পিঠা শুধু একটা খাবার নয় পিঠা হচ্ছে,বাঙালির সংস্কৃতি। শীত পড়ে গেলেই যেনো পিঠার উৎসব শুরু হয়ে যায় ঘরে ঘরে।আমরা বেশির ভাগি দেখে থাকি গ্রামে পিঠা উৎসব।শীত মানেই গরম গরম ধোয়া ওঠা পিঠাপুলি, ভাপা পিঠা,চিতই পিঠা,ক্ষীর পায়েস ইত্যাদি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।



শৈশবে শীতকাল মানেই ছিল মায়ের হাতের অনেক রকম নকশা ও স্বাদের পিঠা কখনো গরম ধোয়া মাংসের ঝোল দিয়ে পিঠা কখনো আবার চা দিয়ে পিঠা কখনো আবার নানা রকমের ঝাল দিয়ে পিঠা।গ্রামে শহরে যেন দেখা যায় নানান রকমের পিঠার দুম।শহরে কখনো রাস্তার পাশে আনাচে-কানাচে

 অলিতে গলিতে ভ্যানে করে নানান রকমের পিঠা বিক্রি করতে..ও দেখা যায়। অনেক রকমের
শুটকি, সরিষা, ধনিয়া পাতা ভর্তা করতে দেখা যায়।আর যারা মিষ্টি পছন্দ করে তাদের জন্য মালাই,নারকেল,গরম গরম দোয়া পিঠাও বানিয়ে থাকে আর সেগুলো আমরা কিনে খাই। যখন বাইরে

কিছু কেনাকাটা করতে চাই বা ঘুরতে যাই সেই ফাঁকে তাদের রাস্তায় রাস্তায় ভ্যান নিয়ে দেখা যায় পিঠা নিয়ে তারা অনেক রকমের পিঠা তৈরি করে থাকে যেমন,
ভাপা পিঠা এই পিঠা হচ্ছে একটি শীতের জনপ্রিয় পিঠা আর এটা গ্রামে যেমন ও মানুষ খায় তেমন

শহরে এটা আরো বেশি খেয়ে থাকে এটাই একটি সুস্বাদু পিঠা মুখোরচক পিঠা এর প্রধান উপাদানই হচ্ছে চালের গুড়া।আর মিষ্টি করার জন্য দিতে হয় গুড়,আর সাথে দিয়ে থাকে নারিকেল।




ভাপা পিঠা

চালের গুড়ো পরিমাপ মতো লবণ ও পানি নিয়ে ভালো ভাবে মিশ্রন করে নিবেন। তারপরে চালের গুড়ো ভালভাবে নেড়ে নিবেন এবং চালের গুড়ো গুলো যে কোনো চালুনি দিয়ে ভাল ভাবে চেলে নিবেন নেওয়ার পর নারিকেল চেঁছে নিবেন।আর একটা বাটিতে গুড়ো নিয়ে সবশেষে আপনি গুড়,নারিকেল

 দিয়ে দিবেন আর গ্যাস বলুন আর যে কোনোই চুলাই বলুন আপনার রান্না-ঘরে যে চুলা থাকবে সেটাতে একটা পানি হাড়ি বসিয়ে দিবেন পানি ফুটে যাওয়ার পর আপনার পিঠা বসিয়ে দিবেন মিডিয়াম আচে এতে পিঠা তৈরিতে স্বাদ টা বেড়ে যায়।

চিতই পিঠা

চিতই পিঠা ও সবার একটি জনপ্রিয় পিঠা এবং সুস্বাদু অনেক মজার একটি পিঠা এর আকৃতি অনেক সুন্দর দেখতে বৃত্তের মত গোল আকার আর নরম..বটে। এই পিঠা ও অনেক রকম ঝাল ভর্তা বানিয়ে খায় আবার মিস্টি দিয়ে খেতে দুধ,খেজুরের রস দিয়ে ও ভিজিয়ে খেয়ে থাকে।

এই পিঠা তৈরি করতে প্রথমে চালের গুড়া দিয়ে মরিমাণ মত লবন ও পানি নিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিবেন তারপর একটি



চিতই পিঠা

চুলোতে মাটির খোলা বসিয়ে নেকরা দিয়ে মুছে নিবেন নেওয়ার পর একটা ডাবু চামচের সাহায্যে পরিমাপ মত ঢেলে দিবেন এরপর ঢাকনা দিয়ে ডেকে দিবেন মিনিট ৫ এর ভেতর নরম তুলতুলে একটা সফট চিতুই পিঠা তৈরি হয়ে যাবে।

আর হ্যা যদি পিঠা না ফোলে তাহলে ঢাকনার ওপরে সামান্য পানি ছিটা দিতে পারেন নয়লে নেকরা ভিজিয়ে দিতে পারেন।মনের মত ঝাল বা মিষ্টি এ্যাড করে খেতে পারেন।

নকশী পিঠা

আপনারা নকশি পিঠা অনেকই পছন্দ করে থাকেন।কারন এই নকশি ডিজাইন এর পিঠা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে এটা যেমন, দেখতে সুন্দর তেমনি আকর্ষণীয় এর জন্যই এটা এত বিখ্যাত আর এই পিঠাটি ভাজার আগেই নকশাটি তৈরি করে নিতে হয়। পিঠা টা তৈরি করতে চালের গুড়া লবণ ও তেল মুগ




নকশী পিঠা
ডাল,এলাচ, তারুচিনি, ডিম এর উপাদান লাগে।আপনি বাজার থেকে নকশা কিনে এনে ছাঁচে ফেলে ও পিঠার নকশাটি আপনি তৈরি করতে পারবেন।পিঠা গুলো আপনি চাইলে ঘি দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আবার এই পিঠাগুলি দুধে ভিজিয়ে রাখলে খেতে দারুণ লাগে।
পাটিসাপটাপাটিসাপটা কারো না মুখে শোনা যায়।

কেনা কে খেতে পছন্দ করে সবাই ভালোবাসে। আর এই পিঠা বাংলাদেশের সবচেয়ে একটি জনপ্রিয় পিঠা যেমন, সুস্বাদু তেমন ও খেতে মজা তাই সবাই পছন্দ করে । বাড়িতে কিংবা বাইরে সবখানে বানাতে দেখা যায় । আবার কেউ কেউ এটা বাইরে বিক্রি করে থাকে।অনেক ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় যে পিঠারো অনেক রকম মেলা বসে থাকে।


পাটি সাপটা

এই পিঠাটি যদি আপনার খেতে মন চায় তাহলে আপনিও খুব সহজে এটা তৈরি করে নিতে পারেন। তো আপনি এটা কিভাবে তৈরি করবেন তাহলে আমরা সেই আলোচনায় ফিরে আসি।

পিঠা তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগে?

  • চালের গুঁড়ো ১ কেজি
  • ২.৫ লিটার দুধ নিবেন
  • চিনি ৬০০ গ্রাম নিলেই চলবে
  • লবনও পানি পরিমাপ মতো নিবেন
  • নারিকেল কোরা ১ কাপ নিবেন
  • সুজি নিবেন ২ টেবিল চা চামচ
  • ময়দা নিবেন আধা কাপ
  • ভাজার জন্য তেল নিবেন পরিমাপ মত

পিঠার প্রস্তুত প্রণালী নিয়ম গুলি।

প্রথমে আমরা ৬০০গ্রাম চিনি এবং দুধ দিয়ে ঘন করে ভালোভাবে জাল দিয়ে নেব আমরা এটা ক্ষীর তৈরি করে নিব তারপর নারিকেল করা এটা ভালোভাবে ঘন করে নেব রান্না শেষে । রান্না শেষে এটা নামিয়ে ফেলবো। এখন এটাতে নিব চালের গুঁড়ো,লবণ ও পানি চিনি দিয়ে পাতলা করে গুলিয়ে নিব তারপরে তাওয়া অথবা ফ্রাই প্যানে।

যেটাই আপনার কাছে থাকুক না কেন.. সেটাতে সামান্য পরিমাণ তেল।
ফ্রাইপেন অথবা তাওয়াতে মাখিয়ে নিবেন এরপর ভালভাবে গরম করে নিবেন।এবার এটা আধা কাপ নিয়ে গোলাটা দেয়ে একটি পাতলা রুটির মত বানিয়ে নেবেন। ওপর পাঁসটি শুকিয়ে গেলে একটা চামচের সাহায্যে পরিমাপ মতো।

ক্ষীর দিয়ে মুড়িয়ে ভেজে নিবেন যেন দুই পাশেই ভালোভাবে ভাজা হয়।এরপরে এক এক করে পিঠা বানিয়ে আপনি নামিয়ে নিতে পারেন। এবার পিঠা ঠান্ডা হলে গরম গরম পাটিসাপটা পরিবেশন করুন।

পুলি পিঠা

নারিকেল পিঠাটি হচ্ছে,পুলি পিঠা এই পিঠা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পিঠা।আবার এই পিঠাকে কেউ কেউ কুলশি পিঠা বলে। নারিকেল দিয়ে পিঠার তৈরি তাহলেই তো আর কোন কথাই নেই পিঠার কথা শুনে যেনো জিভে জল চলে আসে। নারকেল দিয়ে পিঠার স্বাদ সব কিছুকে যেন হার মানায়।

নারকেলের পিঠার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে, পুলি পিঠা পুলি পিঠা হয় দুই ধরনের যেমন,ভাপা পুলি আরেকটা হচ্ছে ভাজা পুলি




পুলি পিঠা

তো আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে পুলি পিঠার রেসিপি তৈরি করতে হয়! চলুন তাহলে
শুরু করা যাক।

উপকরণ গুলিঃ-
  • বড় নারিকেল ১ টি
  • চালের গোড়া আধা কেজি
  • চিনি ১ কাপ নিবেন
  • পানি ১ কাপ নিবেন
  • লবণ পরিমাপ মতো
  • তেল পরিমাপ মতো নিবেন

নারিকেল পুলি পিঠা তৈরি নিয়ম গুলি।

প্রথমে আমরা আমাদের নারেলটি ভালোভাবে কুড়ে নেব। তারপরে পুর বানিয়ে নেব এবং পুর বানানোর জন্য চিনি, নারকেল একসাথে জাল দিয়ে নিতে হবে এবং শুকনো করে নিতে হবে।
এবার গরম পানি ফুটিয়ে চালের গুড়ো ময়দা মিশিয়ে খামির করে নিবেন। খামির করা হয়ে গেলে ঠান্ডা করে নিতে হবে। 

এরপর ভালোভাবে মাখিয়ে নিবেন।ঠান্ডা হয়ে গেলে প্রথমে রুটির বানাবেন বড় করে বানানোর পর একটা গোলাকার জায়গা জিনিস নিবেন ।নেওয়ার পর পুরগুলো ঢেলে দিবেন ঢেলে
দেওয়ার পর এটাকে আলতোভাবে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে নিবেন দিয়ে আপনি হাত দিয়ে মুড়িয়ে নিবেন

 আর এভাবে তৈরি করতে হয় মজাদার পুলি পিঠা এভাবে আপনি তৈরি করার পর তেলে ভাজতে পারেন ভেজা গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন চাইলে আপনি ঝাল দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন অনেকে ঝাল দিয়েও এটা তৈরি করে থাকেন। আবার এই পিঠাটি কেউ কেউ দুধ দিয়ে ভিজিয়ে খায়।

লেখকের মন্তব্যঃ

বন্ধুরা আমরা এই শীতের সকাল নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। এই পোস্টটি যদি আপনাদের অনেক ভালো লেগে থাকে তাহলে,অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি  আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url