ঘরোয়া পরিবেশে সর্দি কাশির চিকিৎসা।
সর্দি কাশি হল একটা কমন বিষয়। এটা সবারই হয়ে থাকে এটা ঠান্ডা জনিত রোগ তাই এতে ভয় পাওয়ার কোন কিছুই নেই, আপনি কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললেই সেরে যাবে তো আজকে আমি আমাদের এই টপিকে আলোচনা করব সর্দি কাশি হলে করণীয় কি কি? জানতে হলে পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।
অনেকটাই সময় ঋতু পরিবর্তন হওয়ার কারণে এই ঠান্ডা জনিত রোগ বালাই সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে বেশির ভাগ বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে।
ভূমিকাঃ
নিজের স্বাস্থ্যের জন্য নিজেকেই যত্ন নেয়া লাগবে। অবহেলা করলে চলবে না তাই আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন সর্দি কাশি হলে করণীয়, নাকের সর্দির কমানোর উপায় গুলো, সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত? আরো অন্যান্য বিষয়বস্তু নিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
ঘরোয়া পরিবেশে সর্দি কাশির চিকিৎসা।
ঘন ঘন আদা চা খাবেন তার সাথে অবশ্যই তেজপাতা লং যুক্ত করবেন । গরম পানি অথবা রান্না করার সময় গরম ভাতের ভাব নিবেন সম্ভব হলে মাথায় এবং বুকে সরিষার তেল ব্যবহার করবেন। আর হ্যাঁ পারোতো পক্ষে দিনে দুইবার হালকা কুসুম গরম পানিতে সীমিত পরিমান লবণ মিশিয়ে গড়গড়া শহীদ কুলি করিবেন।
সর্দি কাশি হলে যে পাঁচটি খাবার খাবেন।
লবন ও পানি
কুসুম কুসুম গরম পানিতে সীমিত পরিমাণ লবণ মিশিয়ে পান করে নিন।গলা বেথ্যা কমে যাবে এবং
আদা খাওয়ার উপকারিতা
আদা খাওয়ার অন্যতম সুরক্ষিত পদ্ধতি হলো আদার চা আপনি একটি কাপে এক কাপ পানি সহকারে এক চা চামচ আর এক টুকরো আদা মিশিয়ে ভালো করে চা বানিয়ে নিন। এটা একটি এন্টিমেটিক যা বমির ভাব দূর করতে সাহায্য করে এবং
এটা হচ্ছে কাশি বিরোধী এর উপকারিতা অনেক বেশি এবং এটা একটি জীবাণু বিরোধী এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনি চাইলে আদা টি চিবিয়ে খেতে পারেন যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি ।
লেবু খেলে দূর হবে কাশি
লেবুর ভেতর আছে এক ধরনের ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণের মিশ্রণ করে কয়েক মিনিট নাকের কাছে রেখে দিন।
মধু খাবেন যে কারণে
মধুর উপকারিতা আপনি জানলে অবাক হবেন কারণ মধু মানুষের জন্য আল্লাহর প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত এবং রোগ বালাই নিরাময়ে মধুর কোন অপরিসীম। এ মধু তে রয়েছে আরব বিদ্যমান বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ফলে নিয়মিত খাঁটি মধু পাবেন।
আমাদের শরীরের যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সহজে বৃদ্ধি করা যায়। আর এটা কাশির জন্য অনেক অন্যতম উপকারী জিনিস আপনার অতিরিক্ত ঠান্ডার আবার সর্দি যদি লেগে থাকে তাহলে, আপনি প্রতিদিন নিয়ম মতো করে রাতে এক চামচ করে মধু খেতে পারেন।
তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতার রোগ ক্ষমতার প্রতিরোধ অনেকটা বেশি।কারণ অ্যাজমা ফুসফুসের সমস্যা আরো অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের অন্যতম ঔষধি গাছ হল এই তুলসী পাতা। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস পানিতে তুলসী পাতা অথবা আদা ও চা ভালো করে পাতাটা ফুটিয়ে নিয়ে পান করেন।
তাহলে অনেক আরাম পাবেন । এছাড়া মাথা ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে আপনি চাইলে তুলসী পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়েও গড়গড়া করলে অনেক উপকার পাবেন। তুলসী পাতা রস এবং মধু দিয়ে আপনি খেতে পারেন।
সর্দি কাশি হলে যে ফল খাওয়া যাবে।
আমড়া
আমরা সর্দি কাশির জন্য অনেক ভালো একটি উপকারী ফল।কারণ এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি।
তাই আমড়া খেলে সর্দি কাশি সেরে যাবে নিমে সেই।
আপেল
আপেল হচ্ছে একটি পুষ্টি উপাদানকারী ফল। এই ফলে রয়েছে অনেক ভিটামিন এবং এই ফলের মধ্যে কুইক সিটির নামক এক ধরনের এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যেটা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আবার এই ফলে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সাহায্য করে। যেমন, এটা আপনাকে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে ফোলা কমাতে সাহায্য করবে এবং শরীরের ওজন কমে তো সাহায্য করবে।
কমলা লেবু
কমলালেবু তে আছে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। এই ফল হজম শক্তির জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। সর্দি ও কাশির জন্য অনেক উপকারী ফল আবার এই ফলেও অন্যান্য গুণাবলী ও আছে।
কলা
এই শীতকাল নিয়ে অনেকের ভ্রান্ত ধারণা মনে রয়েই গেছে । তারা হয়তো জানে না যে এই ফলে ও পুষ্টি কত আর এর উপকারিতা কতো বেশি কারন এই ফলে প্রচুর পটাশিয়াী, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন আছে ফলটি অনেক শক্তিশালী খাবার।
জর সর্দি কাশি হলে করনীয় কি?
আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।আর ঘুমাতে হবে আপনি যত পরিমান পানি পান করবেন স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো নইলে অসুখ বেড়ে যাবে অবশ্যই শরীর উষ্ণ রাখতে হবে এবং গরম কাপড় পরিধান করতে হবে নইলে অসুখ বেড়ে যাবে।
আপনার যদি অতিরিক্ত জ্বর বা সর্দি অথবা কাশি হয়ে থাকে তাহলে প্যারাসিটামল খাবেন আর নাক বন্ধ হয়ে গেলে নিঃশ্বাস নিতে অনেকেরি কষ্ট হয়ে থাকে বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের তাই আপনি নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
জ্বর ও সর্দি কাশির ঔষধ
- সর্দি ও কাশি:ফেনাডিন, মোনাস ১০, সিনামিন, কিটো-এ, ডি-এক্সএন মিন্ট।
- কাশির সিরাপ: মিরা গফ,কাফলিন,টমিফেন,এডভাস,এমব্রোক্স,শুকনো কাশি অথবা কাশির সঙ্গে শ্বাস কষ্ট, কাশির সঙ্গে কফ, কাশির জন্য সিরাপ।
- জ্বরের ঔষধঃপ্যারাসিটামল,জ্বর ও মাথাব্যথা কমানোর জন্য এই ঔষধ খেতে পারেন।
ডি-এক্সএন মিন্ট এর উপকারিতা
- গলা ব্যথা ও গলা খসখসে দূর করে।
- কফ ও কাশি দূর করে।
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
- গলা ও ফুসফুসে কে ফ্রেশ করে।
- সিগারেটের নেশা দূর করতে ভালো কাজ করে।
চুষে খাওয়ার ওষুধ
নিয়মিত ডি-এক্সএন চুষে খেলে কফ ও কাশি দূর করা যায়।
বাচ্চাদের সর্দি-কাশি হয় কি কারনে?
শিশুরা বেশিভাগই ভাইরাসজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি কাশিতে ভুগে থাকেন। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে ও এছাড়া ও আরো অন্যান্য সমস্যা হতে পারে যেমন, পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণে, আবহাওয়ার কারণে, মৌসুম পরিবর্তন হওয়া বা গরম কাপড় পরিধান না করে বাইরে যাওয়া।
- এলার্জি
- অ্যাজমা
- আবহাওয়া
- পরিবেশ দূষিত হলে।
বাচ্চাদের কাশি হলে কি করবেন?
গরম পানি ও খাবার খেতে দিতে হবে । উষ্ণ গরম কাপড় পরাতে হবে ও সর্দি কাশি হলে অবশ্যই মাক্স পড়তে হবে শিশুকে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে মেডিসিন খাওয়াতে হবে।
বাচ্চাদের সর্দি কাশি ঘরোয়া চিকিৎসা
- আপনার বাচ্চার শরীর অবশ্যই উষ্ণ রাখতে হবে।
- বাচ্চার জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।
- বাচ্চার বুকে হালকা গরম সেক দিন।
- বুক পাঁজর সহ গোটা শরীরে ভালোভাবে সরিষার তেল মালিশ করে দিন।
- বুকের দুধ এবং তরল পানিও পান করান।মধু ও আদা।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
- মধু আদাঃমধু ও আদার রস করে মিশিয়ে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াবেন এটা সর্দি কাশির জন্য অনেক কাজ করবে এবং উপকারী।
- সরিষার তেল ও রসুন কালোজিরাঃ সরিষার তেল ও দুই কোয়া রসুন, কালোজিরা নিয়ে একটা বাটিতে ভালোভাবে গরম করে নিবেন গরম করার পর বাচ্চার মাথায়, গলায়, বুকের পাজরে ও পিঠে এবং হাত ও পায়ে ভালোভাবে মালিশ করবেন।
কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?
- যখন দেখবেন খুব বেশি খিঁচুনি উঠবে।
- শিশুর মুখ ও ঠোঁট লাল হয়ে যাবে।
- শিশুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রীর বেশি বেড়ে গে...
- শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে।
- অতিরক্ত শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে।
- শরীরে আরো অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে অথবা জ্বর সর্দি কাশি বেশি হলে খুব দূত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
পরামর্শ
আপনার ও আপনার শিশুর যদি অতিরিক্ত ঠান্ডা জ্বর বা সর্দি দীর্ঘদিন ধরে হয়ে থাকে তবে অতি অনতিবিলম্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সরনাপূর্ণ হন।
লেখকের মন্তব্যঃ
প্রিয় বন্ধুরা আপনাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে বিবেচনা করে আমি কিছু ঘরোয়া পরিবেশে সর্দি কাশির চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি আমার এই টপিকটা পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। যদি আপনারা এইরকম টপিক পেতে চান স্বাস্থ্য বিষয়ক টপিক তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি এখনই ভিজিট করে ফেলুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url