খালি পেটে আখের রস খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আজ আপনারা জানতে পারবেন যে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে খালি পেটে আখের রস খেলে কি হয়।এর উপকারিতা এবং অপকারিতা গুলো ও কখন খাওয়া উচিত হবে এবং গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে কিনা ও গর্ভাবস্থায় খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু যুক্তি সম্মত


এই তীব্র গরমে আমরা অনেকেই আখের রস খেয়ে থাকি। এই আখের রস এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও জিংক পটাশিয়াম হাইড্রো এসিড, শর্করা, প্রোটিন ইত্যাদি আরো অনেক রকমই উপকারী উপাদান রয়েছে।এই আখের রসের ভেতরে।

খালি পেটে আখের রস খাওয়ার উপকারিতা

আখের রস নিয়মিত পান করাতে একাধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করতে সহায়তা করে। যেমন আখের রসের ভিটামিন সি আছে এবং আইরন আছে এই আখের রসের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার মিনারেলস পাওয়া যায়।

আখের রস খাওয়ার উপকারিতা

লিভার ভালো রাখেঃ আখের রস লিভারের জন্য অনেক উপকারী বলতে পারেন কারণ ডক্টররা সব সময় পরামর্শ দিয়ে থাকেন জন্ডিস রোগীদেরকে আখের রস খাওয়ার জন্য। আখের রস খাওয়াতে প্রসবের জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।

এনার্জি ঘাটতি দূর করেঃ আখের রস একটি প্রাকৃতিক ড্রিংকস বললেই চলে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, আইরন, কার্বোহাইড্রেট ও পটাশিয়ামের মতো আরো অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এতে যেমন পান করাতে তৃষ্ণা মিটাই ঠিক তেমনি ভাবে শরীরে এক্সট্রা এনার্জি বাড়াই।

ত্বক ভালো রাখতেঃএই আখের রস ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধি বললে চলে কারণ আখের রসে প্রচুর পরিমানে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড থাকে।যার কারণে ত্বকের মতো মৃত কোষ কে অপসারণ এর কাজ করতে সহায়তা করে এবং এর ফলে ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে ত্বকের সুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।

কোমল ও মসৃন করে আপনি যদি এটি নিয়মিত ভাবে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন।তাহলে আপনার মুখের কালচে দাগ আছে সেটা দূর হয়ে যাবে এবং আপনি যদি সরাসরি আক্রান্ত স্থলে আখের রস লাগিয়ে রাখেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন।

ডাইবেটিকস দূর করতেঃআখের রস হচ্ছে একটি মিষ্টি জাতীয় রস । এই রসটি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিকস রোগীরা এটা থেকে এড়িয়ে চলেন তবে এটা জানা গেছে আখের রসে ডাইবেটিক্স নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটা কথা না বললেই না কেউ যদি

ডায়াবেটিক্স রোগী হন তাদেরকে উদ্দেশ্য করা এই কথাগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক বেশি থাকে যদি তাহলে এই আখের রস পান করার বিষয়ে অনেক সচেতন হতে হবে।

ক্যান্সার দূর করতেঃ আখের রস বিশেষ করে ক্যান্সারজনিত মারাত্মক রোগের মত এই রোগকে রোগ প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে। যেমন, পোস্ট রেট এবং স্থন ক্যান্সার ও রোগ জনিত সহ ইত্যাদি।
আখের রসের পুষ্টির উপাদানঃ আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যার মধ্যে রয়েছে

আইরন ১.১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৩.০মিলিগ্রাম,ফসফরাস ২২.০৮ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১.১৬ মিলিগ্রাম,পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম, চিনি ১২,৮৫ গ্রাম, প্রোটিন,০.১৬ গ্রাম, ফাইবার ০.৫৬ গ্রাম, ক্যালরি ২৪২ গ্রাম ইত্যাদি।

আখের রস খাওয়ার অপকারিতা গুলো

যারা বেশিরভাগ আখের রস খাওয়া পছন্দ করেন তাদের জন্য এই আখের রস ক্ষতিকারক দিকও হতে পারে যেমন ধরুন অতিরিক্ত পরিমাণে আপনি যদি আখের রস পান করে থাকেন তার ফলে আপনার মাথা ঘুরতে পারে অনিদ্রা হতে পারে। বমি ভাব হতে পারে ও আপনার শরীরকে দুর্বল করে ফেলতে পারে এবং রক্ত জমাট হয়ে বাধা দিতে পারে।

এবং আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে যদি আপনি এমন কোন ধরনের ওষুধ খান যা আপনার রক্তকে পাতলা করে দিতে পারে এছাড়াও বিভিন্ন ইত্যাদি সমস্যা আপনার দেখা দিতে পারে যদি আপনি বেশি পরিমাণ আখের রস খেয়ে থাকেন।

আখের রসের অপকারিতা

১। আখের রস যেমন একটি শক্তিশালী পানীয়, ঠিক তেমনি এই রস অতিরিক্ত পান করাতে নিম্নলিখিত সমস্যা গুলির কারণও হতে পারে।

২। এই আখের রসে আপনার ঠান্ডা জনিত রোগের সম্মুখীন হতে পারেন কারণ এই আখের রসের ঠান্ডার প্রভাব রয়েছে বিশেষ করে আপনি যদি শীতকালে এই আখের রসটি পান করে থাকেন।

৩। আমরা যখন বাইরে বেরোয় তখন বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ধারে খোলামেলা অবস্থায় দেখা যায় যে আখের রস বিক্রি করতে কারণ এই রসে ক্ষতিকারক জীবাণু থাকতে পারে এবং বিভিন্ন পেটের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

৪। আখের রস অতিরিক্ত খাওয়াতে ডায়াবেটিস রোগীদের অনেক প্রবলেম হতে পারে।

আখের রস কখন খাওয়া উচিত

আমরা যখন বাইরে যাই তখন আমরা বাইরে পা দিতেই দেখতে পাই যে রোদের কত তীব্র তাপ। আর এই রোদের তীব্রতা এতটাই বেড়ে গেছে যে বলার কথাই নয়।এখন তো -৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত ছাড়িয়েছে। এই তীব্র গরমে এবং রোদের তাপ থেকে বাঁচার জন্য বিশেষজ্ঞ আমাদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন যে আমরা যেন বেশি বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খায়।

এবং বিশেষজ্ঞ আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে আমরা যেন নিয়মিত প্রতিদিন গোসল করি। আর বেশি করে পানি পান করি সাথে ওর স্যালাইন তো আছেই। আর যেন আমরা গরম জনিত রোগের সাথে মোকাবেলা করতে পারি। তাই এই তীব্র গরমে আমরা অনেকেই ঠান্ডা পানির প্রতি আকৃষ্ট হই। তাই আমরা অনেকেই আখের রস খেয়ে থাকি।

এই আখের রস পান করাতে যেমন আমাদের টেস্টটা মেয়েটাই ঠিক তেমনি শরীরে বাড়তি এনার্জি ফিরে পাই। আখের রস আপনি চাইলে পরিমাণ মত পান করতে পারেন।কারণ এতে রয়েছে প্রোটিন,ভিটামিন সি ও আয়রন ইত্যাদি। চিকিৎসকের পরামর্শে আপনি এই আখের রস দুপুরে অথবা বিকেলে খেতে
পারেন।

মন সতেজ ও হাইড্রেটেট রাখতে চাইলে আপনি গ্রীষ্মকালে এই আখের রসটি পান করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় আখের রস খাওয়া যাবে কি?

এই আখের রস গরমে কিংবা শীতে আমরা খেয়ে থাকি। তবে আমরা বেশিরভাগ গরমেই খেয়ে থাকি তবে এই আখের রস কি গর্ভবতীরা খেতে পারবে? এই আখের রস গর্ভবতী মায়েদের জন্য কতটুকু উপকারী।
বিশেষজ্ঞের মতামতে জানা গেছে।যে এই আখের রস প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

তবে গর্ভবতীদের জন্য কতটুকু নিরাপদ এই আখের রসটি চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই।
এই আখের রসে রয়েছে যেমন প্রচুর ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আইরন ইত্যাদি। শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য ও বাড়তি এনার্জির জন্য আমরা এই আখের রস গ্রীষ্মকালে বেশি নিয়মিত করে প্রতিদিন খেয়ে থাকি।

তবে বিশেষজ্ঞদের কাছে জানা গেছে গর্ভবতী মায়েদের জন্য এ আখের রস অনেক উপকারী। কারণ গর্ব অবস্থায় এই আখের রস খেয়ে থাকলে আপনি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন। আপনি যদি ডায়াবেটিক্স বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন তাহলে এই আখের রস আপনার পান করা উচিত হবে না।

গর্ভাবস্থায় আখের রস পানের উপকারিতা

  • সকালের অসুস্থতা দূর করতে।
  • সকালে অসুস্থতা কাটানোর জন্য আপনি এই কয়েক ফোটা আদা রস যোগ করে খেতে পারেন।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য এই আখের রস অনেক উপকারী এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেটের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকেও বাঁচতে সাহায্য করে।
  • সংক্রমের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
  • আখের রস পুষ্টি সরবরাহ করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে সহায়তা করে এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতেও সহায়তা করে ও ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
  • দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • গর্ভকালীন দাঁতের সমস্যার জন্য এই আখের রস দাঁতের যে কোন সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।
লেখক এর মন্তব্যঃ প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু স্বাস্থ্য বিষয় টিপস নিয়ে আলোচনা করেছি।তো আমার এই পোস্ট পড়ে যদি এতটুকু আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমার এই ওয়েবসাইটটি এখনই ফলো করে ফেলুন এবং ভিজিট করে ফেলুন এতে করে আমার এই ওয়েবসাইটের আপডেট পোস্ট গুলো সবার আগে আপনি পেয়ে যাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url