মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম

 

মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন!সর্বপ্রথমে আমি আমার মহান আল্লাহ্-তালার নামে শুরু করছি,আজকের যে বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করব সেটা হচ্ছে, মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম ও প্রয়োজনীয় দোয়া দুরুদ।



চলুন তাহলে আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।প্রথমে আমরা নামাজ ও নামাজের সঠিক নিয়ম
এবং নামাজের কিছু প্রয়োজনীয় সূরা নিয়ে আলোচনা করব।


ভূমিকাঃ নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা ও ফজিলত সহি শুদ্ধভাবে সালাত আদায় করা ও কিছু নিয়ম এবং আরো কিছু প্রয়োজনীয় নামাজের সূরা নিয়ে, আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো মহান আল্লাহতালা প্রত্যেক মুসলমানের প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করে দিয়েছেন। তাই আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের উচিত নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা।


নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা।

নামাজ সালাত হলো ইসলামের ভিত্তি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ নামাজ ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির একটি ঈমানের পর নামাজী ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি সালাতের আভিধানিক অর্থ দোয়া আর রহমত ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি আদিবাসী অর্থ শরীয়ত

 নির্দেশিত আহকাম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বান্দার প্রার্থনা ও আনুগত্যের শ্রেষ্ঠতম ইবাদতকে সালাত বলা হয় তাহরীমা দ্বারা শুরু করতে হয় এবং সালাম দ্বারা শেষ করতে হয়

নামাজের কিছু গুরুত্ব ও ফজিলত।

ইসলামের নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম নামাজ- ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ বিচার দিবসে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাবী আল্লাহ তায়ালা নিবেন সরাসরি মিরাজ রজনী তো মহান আল্লাহর ফরজ করে মহান আল্লাহ বলেন তোমরা আমাকে স্মরণ করার জন্য নামাজ কায়েম করো তিনি আরো বলেন নামাজ নিশ্চয়ই

 মানুষকে মন্দ কাজ বন্ধ কথা এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম কোন প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হলে আমি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন পরিবার-পরিজন করে পরিবার পরিজনকেও নিয়ে সর্বপ্রথম কেয়ামতের দিন বান্দার নামাজের হিসাব আল্লাহতালা চাইবে।

মহিলাদের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম।

তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো, হাত কাপড়ের ভেতর হতে বের না কর, হাত সিনার ওপর রাখ, ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠে ওপর স্বাভাবিকভাবে রাখা,পুরুষের মতো শক্ত করে হাত না বাধ, রুকুতে পুরুষের তুলনায় কম ঝুক, রুকুতে উভয় বাহু পাঁজরের সঙ্গে পরিপূর্ণ মিলিয়ে রাখা, রুকুতে হস্তদ্বয় হাঁটুর ওপর স্বাভাবিকভাবে রাখ, এবং হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে রাখা, পুরুষের

 ন্যায় আঙ্গুল ছড়িয়ে শক্তভাবে হাঁটু না ধরা, রুকুতে পদদ্বয়ের গোড়ালি পরিপূর্ণ মিলিয়ে রাখা,অত্যন্ত জড়সড় ও সংকুচিত হয়ে সেজদা করা,সেজদায় পুরুষদের ন্যায় কনুইদ্বয় খোলা ও ছড়িয়ে না রাখা,উভয় রানের সঙ্গে পেট মিলিয়ে রাখা বাহুদয় সাধ্যানুযায়ী পাঁজরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা,উভয় কনুই মাটিতে

 মিলিয়ে রাখা,সেজদায় পদদ্বয় খাড়া না রাখা,বরং ডান দিক দিয়ে উভয় পা বের করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা,এবং উভয় পায়ের আঙ্গুল সমূহ যথাসম্ভব কেবলামুখী করে রাখা বৈঠকের সময় বাম নিতম্বের উপর বসা,পদ্বদয় ডান দিক দিয়ে বের করত কেবলা মুখী করে মাটিতে বিছিয়ে রাখা,বৈঠকের সময় হাতের আঙ্গুল সমূহ মিলিয়ে রাখা।


নামাজ পড়ার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় দোয়া দরুদ  

ইকামত!

ফরজ নামাজ শুরু করার পূর্বে ইকামত বলতে হয়।ইকামতের বাক্যগুলো আযানের বাক্যের মতোই বলবে। কিন্তু ইকামতের বাক্যগুলো তাড়াতাড়ি বলতে হবে এবং (অর্থঃনিশ্চয়ই নামাজ আরাম্ব হয়েছে)এটা দুবার বলবে।


১.নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ মনোনিবেশ সহকারে পড়তে হয়:إني وزاهاتو أوجيا ليلازي فتركهماواتي والأرض حنيفا وما أنا من المشركين

২.নামাজের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমা বলতে হয়:الله أكبر অর্থ:আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ।

৩. ছানা:তাকবীরে তাহরিমার পর নাভির নিচে হাত বেঁধে পড়তে হয়-سبحان الله وبحمديكا أتبر كشموكا وطيالالا زادوكا ولا إله جويروك

অর্থ: হে আল্লাহ্!আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তোমার প্রশংসা করেছি।

৪.তো হয় ছানার পর তা‘আউজ।

অর্থ:আমি বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

৫.এরপর পড়তে হয়:বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

অর্থ:পরম করুণাময় ও দয়ালু আল্লাহ্ নামে আরম্ভ করছি।

৬.রুকুতে যাওয়ার সময় বলতে হয়:الله أكبر অর্থ:আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ।

৭.রুকুতে পড়তে হয়:سبحان ربيع العظيم

অর্থ:আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

৮.রুকু থেকে ওঠার সময় বলতে হয়: سامي الله ليمان حميدة

অর্থ:যিনি আল্লাহর প্রশংসা করেন তার প্রশংসা আল্লাহ্ শ্রবণ করেন।

৯.রুকু থেকে উঠে বলতে হয়:ربانا ولكال حمد

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক!সকল প্রশংসা তোমারি।

১০.সেজদায় পড়তে হয়: سبحان ربيال علاء

অর্থ :আমার সুমহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

১১.(তাশাহহুদ,দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাছুরা পড়ার পর)সালাম ফিরানোর সময় বলতে হয়: السلام عليكم ورحمة الله.




সূরা ফাতিহা

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রহিম।
ম-লিকিইয়াও মিদ্দিদীন। ইয়্যাকানা'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতায়ীন
ইহদিনাচ্ছিরাতাল  মুস্তাকিম ছিরাতাললাযীনা আন আমতা আলাইহিম। খাইরিল 
মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াললীন।

সূরা ফীল

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উচ্চারণঃ আলাম তারা কাইফা ফা' আলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল্ ফীল।
আলম ইয়াজ আল কায়দা হুম ফি তাদ্বলীল। ওয়া আরশালা
আলাইহিম ত্বাইরান আবাবিল। তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল।
ফা'জা আলহুম্ কা 'আসফিম্ মা ' কুল।

সূরা ফালাক

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উচ্চারণঃ কুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক্ব।মিন্ শাররি মা-খালাক্ব। ওয়ামিন শাররি গাসিক্বিন ইজা ওয়াক্বাব।ওয়ামিন শাররিন নাফফাছাতি ফিল উক্বাদ।ওয়ামিন শাররি হাসিদিন ইজা হাসাদ।

 সূরা লহাব

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 উচ্চারণঃতাব্বাত ইয়াদা আবী লাহিবিও' ওয়াতাব্বা, মা আগনা আনহু মালুহু ওয়ামা কাসাব।সাইয়াছলা নারান যাতা লাহাবিও'ওয়ামরা আতুহু হাম্মা লাতাল হাত্বাব,ফী জিদীহা হাবলুম মিম মাসাদ।

 সূরা ইখলাস

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 উচ্চারণঃকুল হুয়াল্লাহু আহাদ।আল্লাহুস সামাদ লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ।ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওান আহাদ।

সূরা কাওসার

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উচ্চারণঃইন্না আ'ত্বোতাইনা কাল কাওসার। ফাসাললিলি রাব্বিকা ওয়ানহার।ইন্না শা-নিয়াকা হুয়াল আবতার।

সূরা কাফিরুন

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উচ্চারণঃকুল  ইয়া -আইয়্যহাল কাফিরুন।লা-আ'বুদু মা-তা'বুদুন।ওয়ালা-আনতুম আ-বিদুনা মা আ'বুদ।ওয়ালা-আনা আবিদুম্ মা-আবাততুম।ওয়ালা-আবতুম আ'বিদুনা মা-আ'বুদ।লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।

সূরা কুরাইশ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

উচ্চারণঃলি-ঈলাফি কুরাইশীন।ঈলা-ফিহিম রিহলাতাস্ শিতায়ি ওয়াছছাইফ।ফালইয়া বুদু রাব্বা হাজাল বাইত।আল্লাজী আত'আমাহুম মিন জুঁয়ি ও ওয়া আমানাহুম মিন খাউফ।




এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url